7 foods you must avoide if you are a diabetic patients

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ৭টি খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত

Share This Post

ডায়াবেটিস শুধু একটি রোগ নয়—এটি একটি জীবনধারা। রক্তে শর্করার মাত্রা যেন স্বাভাবিক সীমায় থাকে, সেই লক্ষ্যেই প্রতিদিন আমাদের খাবারের প্রতি extra সতর্ক থাকা দরকার। অনেকেই ভাবেন, “চিনি না খেলেই তো হলো।” কিন্তু বাস্তবে যেসব খাবার আমরা প্রতিদিন খাই তার মধ্যেই অনেকগুলো আছে যা সরাসরি চিনি না হলেও শরীরে প্রবেশ করে খুব দ্রুত গ্লুকোজে পরিণত হয়। এগুলোই রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট করে।

এই লেখায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর ৭টি খাবার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরের ইনসুলিন কাজ করা কমে যায় এবং ডায়াবেটিস আরও বেড়ে যায়।


Table of Contents

ডায়াবেটিস কত প্রকার?

ডায়াবেটিস মূলত চার প্রকারের হয়। প্রতিটি ধরনের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি একটু আলাদা। নীচে সহজ ভাষায় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো

১. Type 1 Diabetes: টাইপ–১ ডায়াবেটিস

এটি ইনসুলিন–নির্ভর ডায়াবেটিস নামে পরিচিত।
এ অবস্থায় শরীরের প্যানক্রিয়াস একেবারেই ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।

কারণ

  • শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজেই প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন–উৎপাদক কোষ নষ্ট করে দেয়।
  • সাধারণত শিশু, কিশোর বা তরুণদের মধ্যে শুরু হয়।

চিকিৎসা

  • আজীবন ইনসুলিন ইনজেকশন
  • নিয়মিত সুগার টেস্ট
  • ডাক্তারের নিয়মিত চেকআপ

২. Type 2 Diabetes: টাইপ–২ ডায়াবেটিস

সবচেয়ে বেশি মানুষ এই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে বা ভুল জীবনযাপনের কারণে এটি দেখা দেয়।

কারণ

  • শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়, কিন্তু সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না (Insulin Resistance)।
  • অতিরিক্ত ওজন
  • কম ব্যায়াম
  • অস্বাস্থ্যকর খাবার
  • বংশগত কারণ

চিকিৎসা

  • ডায়েট কন্ট্রোল
  • ব্যায়াম
  • মুখে খাওয়ার ওষুধ
  • অনেক সময় ইনসুলিনও লাগতে পারে
  • নিয়মিত HbA1c পরীক্ষা

আরও পড়ুন: Healthy Bengali Breakfast : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ৫টি স্বাস্থ্যকর বাঙালি জলখাবার

৩. Gestational Diabetes: গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

অনেক মহিলার গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। একে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলা হয়।

কারণ

  • গর্ভাবস্থার হরমোন ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
  • যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে তাদের ঝুঁকি বেশি।

চিকিৎসা

  • নিয়মিত সুগার মনিটরিং
  • সঠিক ডায়েট
  • অনেক ক্ষেত্রে ইনসুলিন প্রয়োজন হয়
  • শিশুর জন্মের পর বেশিরভাগ সময় সুগার স্বাভাবিক হয়ে যায়

৪. Secondary Types: সেকেন্ডারি বা অন্যান্য বিশেষ ধরনের ডায়াবেটিস

শরীরের অন্য কোনো রোগ বা ওষুধের কারণে যখন ডায়াবেটিস হয়, তাকে সেকেন্ডারি ডায়াবেটিস বলা হয়।

কারণ

  • প্যানক্রিয়াসে ইনফেকশন বা প্রদাহ
  • কিছু স্টেরয়েড বা হরমোন জাতীয় ওষুধ
  • জেনেটিক বা বংশগত সমস্যা
  • লিভার বা হরমোনাল অসুস্থতা

চিকিৎসা

  • মূল রোগের চিকিৎসা
  • ডায়েট ও লাইফস্টাইল ঠিক করা
  • প্রয়োজনে ওষুধ বা ইনসুলিন

Symptoms of Diabetes Mellitus – ডায়াবেটিস মেলিটাস এর লক্ষণ

ডায়াবেটিস মেলিটাসের প্রধান লক্ষণ

ডায়াবেটিস মেলিটাসে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে, যার ফলে শরীর নানা ধরনের সংকেত দিতে শুরু করে। এই সংকেতগুলো দ্রুত শনাক্ত করা গেলে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়।


১. অতিরিক্ত পিপাসা লাগা (Excessive Thirst – Polydipsia)

রক্তে শর্করা বাড়লে শরীর অতিরিক্ত জল বের করে দিতে চায়। এতে শরীর পানিশূন্য হয়ে যায় এবং বারবার পিপাসা লাগে।


২. বারবার প্রস্রাব হওয়া (Frequent Urination – Polyuria)

শরীর অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করে, ফলে

  • দিনে বহুবার
  • রাতে ২–৩ বার
    প্রস্রাবের প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন: Diabetes নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন ৫টি বাঙালি শাক

৩. অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা (Increased Hunger – Polyphagia)

রক্তে গ্লুকোজ বেশি হলেও শরীর তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। তাই শরীর মনে করে খাবার দরকার—ফলে বারবার ক্ষুধা লাগে।


৪. অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া (Unexplained Weight Loss)

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকলে শরীর শক্তির জন্য পেশি ও ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে। এর ফলে খুব দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে।


৫. খুব বেশি ক্লান্তি বা দুর্বল লাগা (Fatigue)

শরীর গ্লুকোজকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে না পারায় সবসময় দুর্বলতা অনুভব হয়। কাজ করার ইচ্ছে থাকে না।


৬. চোখে ঝাপসা দেখা (Blurry Vision)

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে চোখের লেন্স ফুলে যায়। এতে সাময়িকভাবে চোখে ঝাপসা দেখা দেয়।


৭. ক্ষত বা ঘা সেরে উঠতে দেরি হওয়া

ডায়াবেটিসে রক্তসঞ্চালন কমে যায় এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে শরীরে কোনো কাটা বা ঘা হলে সেরে উঠতে অনেক বেশি সময় লাগে।


৮. হাত–পায়ে ঝিনঝিন বা জ্বালাপোড়া (Neuropathy)

উচ্চ রক্তে শর্করা স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলে

  • পায়ে ঝিনঝিন
  • জ্বালাপোড়া
  • অসাড়ভাব
    লাগতে পারে।

৯. ত্বকে ইনফেকশন বা চুলকানি

শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ত্বকে

  • ফাঙ্গাল ইনফেকশন
  • ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন
  • চুলকানি
    হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

১০. অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব বা অমনোযোগী হয়ে পড়া

রক্তে শর্করার ওঠানামা মানসিক অবস্থা ও মনোযোগে প্রভাব ফেলে। অনেকেই মাথা ঝিমঝিম অনুভব করেন।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে আর চিন্তা নয়: ৩টি সহজ ও নিরাপদ রেসিপি


যে খাবারগুলো চিনির থেকেও বেশি ক্ষতিকর:

১. সাদা চাল

সাদা চাল অনেকের দৈনন্দিন খাদ্য—কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশ ক্ষতিকর। এতে ফাইবার নেই বলে রক্তে শর্করা দ্রুত বেড়ে যায়।

কেন এটি ক্ষতিকর

  • গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, ফলে দ্রুত হজম হয়ে রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায়।
  • নিয়মিত খেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ে।
  • ওজন বৃদ্ধি পায়, যা ডায়াবেটিসকে জটিল করে তোলে।

বিকল্প

ব্রাউন রাইস, লাল চাল, মিলেট বা বাসমতী চাল তুলনামূলক নিরাপদ।


২. আলুর খাবার

আলুতে প্রচুর স্টার্চ থাকে। স্টার্চ শরীরে খুব দ্রুত শর্করায় রূপান্তরিত হয়।

কেন এটি ক্ষতিকর

  • যেকোনো আলুর রান্নায় GI দ্রুত বেড়ে যায়।
  • ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চপ, পরোটা আরও খারাপ কারণ এতে তেল যোগ হয়।
  • শরীরের মেদ বাড়ায় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে।

বিশেষভাবে ক্ষতিকর খাবার

আলুর ভর্তা, আলুর চপ, ফিঙ্গার চিপস, আলুর পরোটা।


৩. রুটি, লুচি, পরোটা (বিশেষ করে ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার)

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যেকোনো রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটই সমস্যা। ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ।

কেন এটি ক্ষতিকর

  • ময়দা খুব দ্রুত গ্লুকোজে পরিণত হয়।
  • লুচি, পরোটা, নান—এসব তেলে ভাজা বা সেঁকা খাবার আরও ক্ষতিকর।
  • High carb হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত ওঠে।

বিকল্প

জোয়ার, বাজরা, ওটস বা রাগি রুটি মানানসই।


৪. চিনি বা মিষ্টি যুক্ত পানীয়

কোল্ড ড্রিঙ্ক, প্যাকেট জুস বা এনার্জি ড্রিঙ্ক—সবাইকে ডায়াবেটিস রোগীরা এড়িয়ে চলবেন।

কেন এটি ক্ষতিকর

  • এগুলো সরাসরি রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায়।
  • অনেক পানীয়তে হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ থাকে যা লিভার ক্ষতি করে।
  • এমনকি ফলের প্যাকেট জুসও দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়ায়।

যা এড়িয়ে চলবেন

চিনি দেওয়া চা-কফি, প্যাকেট জুস, ফ্লেভার্ড দই, মিল্কশেক।


৫. ফাস্ট ফুড বা প্রসেসড খাবার

ফাস্ট ফুড শুধু ডায়াবেটিস নয়, হার্ট, কিডনি ও ওজন—সব ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করে।

কেন এটি ক্ষতিকর

  • এগুলোতে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট থাকে যা দ্রুত হজম হয়ে রক্তে শর্করা বাড়ায়।
  • অধিক তেল, লবণ এবং কেমিক্যাল অ্যাডিটিভের কারণে শরীরের স্বাভাবিক বিপাকের ওপর চাপ পড়ে।
  • নিয়মিত খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে, যা ডায়াবেটিসের জন্য বিপজ্জনক।

কোনগুলো এড়াবেন

পিজ্জা, বার্গার, চাউমিন, প্যাকেট চিপস, বিস্কুট।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ বাঙালি মিষ্টির রেসিপি


৬. চিনি-মুক্ত বা ডায়েট মিষ্টি

অনেকে মনে করেন “চিনি নেই” মানেই নিরাপদ। আসলে অনেক ডায়েট মিষ্টিতে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ময়দা, কেমিক্যাল থাকে।

কেন এটি ক্ষতিকর

  • উপরোক্ত উপাদানগুলো শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
  • Artificial sweetener লিভারে গ্লুকোজ উৎপাদন বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত খেলে অজান্তেই রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পায়।

যা এড়িয়ে চলবেন

চিনি-মুক্ত আইসক্রিম, চকলেট, প্যাকেট ডেজার্ট।


৭. ভাজা খাবার

তেলে ভাজা খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর কারণ এগুলোতে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট উভয়ই বেশি থাকে।

কেন এটি ক্ষতিকর

  • তেলে ভাজার সময় খাদ্যে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল তৈরি হয় যা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়।
  • ভাজা খাবার ধীরে হজম হয়—ফলে দীর্ঘ সময় ধরে রক্তে শর্করা বাড়তি থাকে।
  • কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ওজন বৃদ্ধি করে।

বিশেষভাবে এড়াবেন

সিঙ্গারা, সমুচা, চপ, পাকোড়া, ভাজা মাছ।


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কী করবেন:

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ শুধু খাবার এড়ানো নয়—একটি সম্পূর্ণ জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, কিছু সাধারণ, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস ডায়াবেটিসকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

১. প্রতিদিন অল্প অল্প করে কয়েকবার খাবার

একবারে বেশি খাওয়া রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়ায়। তাই দিনে ৪–৫ বার কম পরিমাণে খাওয়া ভালো।

২. প্রতিদিন হাঁটা বা ব্যায়াম

কমপক্ষে ৩০–৪৫ মিনিট দ্রুত হাঁটা, সাইক্লিং বা যোগব্যায়াম শরীরের ইনসুলিন রেসপন্স উন্নত করে।

৩. যথেষ্ট ঘুম

ঘুম কম হলে শরীরে স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায়, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে।

৪. মানসিক চাপ কমান

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ইনসুলিন উৎপাদন ও কার্যকারিতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস–প্রশ্বাস ব্যায়াম উপকারী।

৫. নিয়মিত পরীক্ষা

প্রতি তিন মাসে HbA1c পরীক্ষা করুন। এছাড়া ফাস্টিং ও পোস্ট প্র্যান্ডিয়াল সুগার রুটিন হিসেবে করানো উচিত।

৬. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ কমানো–বাড়ানো নয়

অনেকেই সুগার কমে গেলে ওষুধ বন্ধ করে দেন। এটি বিপজ্জনক হতে পারে। যে কোনো পরিবর্তন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।

৭. সঠিক খাবার পরিকল্পনা

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবার, প্রোটিন এবং কম GI খাবার রাখুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার যতটা সম্ভব কমান।


কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)

প্রশ্ন: ডায়াবেটিস রোগীরা কী ফল খেতে পারবেন?

ফল খাওয়া যাবে, তবে পাকা কলা, আঙ্গুর, আম, লিচু বেশি না খাওয়াই ভালো। আপেল, পেঁপে, কমলা, পেয়ারা নিরাপদ।

প্রশ্ন: সাদা চাল কি পুরো বাদ দিতে হবে?

যদি রক্তে শর্করা খুব বেশি, কিছুদিন বাদ দিতে ভালো। পরে সীমিত পরিমাণে ব্রাউন রাইস বা বাসমতী ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্ন: ডাবের জল কি খাওয়া ঠিক?

ডাবের জলে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই একদিনে আধা কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো।

প্রশ্ন: কোন রুটি ভালো?

প্যাকেট ব্রেড এড়িয়ে চলুন। জোয়ার, বাজরা বা রাগি রুটি ভালো।

প্রশ্ন: কোন snacks নিরাপদ?

সেদ্ধ ডিম, মাখনা, ছোলা, স্প্রাউটস, শসা-টমেটো খেতে পারেন।

প্রশ্ন: ডায়াবেটিস কি সারানো যায়?

টাইপ–১ ডায়াবেটিস সারানো যায় না, তবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টাইপ–২ সঠিক জীবনযাপনে অনেকটাই কমানো যায়।

প্রশ্ন: চা–কফি কি খাওয়া যাবে?

চিনি ছাড়া খাওয়া যায়। দুধ কম ব্যবহার করাই ভালো।


শেষকথা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল রহস্য সঠিক খাবার বেছে নেওয়া এবং ক্ষতিকর খাবারগুলো পুরোপুরি এড়িয়ে চলা। প্রতিদিনের জীবনযাপন, ব্যায়াম, ঘুম ও মানসিক স্বস্তিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি এই সাতটি খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন এবং চিকিৎসকের নির্দেশ মতো চলেন, তাহলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।



Share This Post