খাবার খেলেই গলায় উঠে আসে? গ্যাস্ট্রিকের ওষুধেও কমছে না?

খাবার খেলেই গলায় উঠে আসে? গ্যাস্ট্রিকের ওষুধেও কমছে না? জেনে নিন এর কারণ ও সমাধান!

Share This Post

আপনি কি এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন যে, যখনই কিছু খান, বিশেষ করে ভারী বা তেল-মসলাযুক্ত খাবার, তখনই তা গলার দিকে উঠে আসে, মুখে টক বা তিতকুটে স্বাদ লাগে, আর অস্বস্তিতে দিনভর ভুগতে হয়? অনেকেই এটাকে সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ভেবে অ্যাসিডিটির ওষুধ খান, কিন্তু তাতেও পুরোপুরি সুরাহা হয় না। যদি আপনারও এমনটা হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি সম্ভবত এসিড রিফ্লাক্স (Acid Reflux) বা আরও গুরুতর রূপ GERD (Gastroesophageal Reflux Disease)-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন।

আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কেন এমন হয়, কেন সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে কাজ হয় না, এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনার কী কী করণীয় – প্রাকৃতিক সমাধান থেকে শুরু করে কখন ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া উচিত।


কেন খাবার খেলে গলায় উঠে আসে? অ্যাসিড রিফ্লাক্স/GERD এর পেছনের কারণ

আপনার সমস্যাটি শুনে বোঝা যাচ্ছে, এটি আসলে পাকস্থলীর অ্যাসিডের অস্বাভাবিক ঊর্ধমুখী প্রবাহের (reflux) ফল। এটি কেন হয়, তার কয়েকটি প্রধান কারণ নিচে তুলে ধরা হলো:

১. পাকস্থলীর উপরের মাংসপেশি (LES) দুর্বল হয়ে যাওয়া:

আমাদের খাদ্যনালী (esophagus) শেষ হওয়ার ঠিক আগে এবং পাকস্থলীর শুরুর মুখে একটি গোলাকার মাংসপেশি থাকে, যাকে লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিঙ্কটার (Lower Esophageal Sphincter – LES) বলা হয়। এটি একটি ভালভের মতো কাজ করে। সাধারণত, খাবার পাকস্থলীতে প্রবেশ করার পর এই LES সংকুচিত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়, যাতে পাকস্থলীর অ্যাসিড বা খাবার উপরে উঠে আসতে না পারে। কিন্তু যদি এই মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায় বা ঠিকমতো কাজ না করে, তবে এটি পাকস্থলীর অ্যাসিডকে এবং খাবারকে খাদ্যনালী দিয়ে গলার দিকে ঠেলে উপরে উঠতে দেয়, যা রিফ্লাক্সের মূল কারণ।

২. বারবার ভারী বা তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া:

একবারে অনেক বেশি খাবার খেলে পাকস্থলীর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বিশেষ করে অতিরিক্ত তেল, ঝাল, মসলাযুক্ত, ভাজাপোড়া বা চর্বিযুক্ত খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং বেশি অ্যাসিড উৎপাদন করে, যা LES এর উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩. খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়া:

খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে বা ঝুঁকে কাজ করলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাবে পাকস্থলীর অ্যাসিড সহজেই খাদ্যনালী দিয়ে উপরে উঠে আসতে পারে। খাবার হজম হওয়ার জন্য পাকস্থলীকে কিছুটা সময় দিতে হয়।

৪. মোটর অস্বাভাবিকতা বা হাইয়াটাল হার্নিয়া (Hiatal Hernia):

কিছু ক্ষেত্রে, পাকস্থলীর একটি অংশ ডায়াফ্রামের (বক্ষপিঞ্জর ও পেটের মাঝখানের পেশী) মাধ্যমে উপরের দিকে, বুকের গহ্বরে চলে আসে, যাকে হায়াটাল হার্নিয়া বলা হয়। এটি LES-এর কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে এবং রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে। খাদ্যনালীর স্বাভাবিক নড়াচড়ায় (peristalsis) সমস্যা হলেও খাবার বা অ্যাসিড উপরে উঠতে পারে।

৫. নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও পানীয়ের প্রভাব:

ধূমপান, অতিরিক্ত চা-কফি, অ্যালকোহল, কার্বনেটেড ড্রিংকস (সফট ড্রিংকস), টক ফল (যেমন কমলা, লেবু), টমেটো, পুদিনা, চকোলেট – এই ধরনের খাবার ও পানীয়গুলো LES-কে শিথিল করতে পারে বা পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে।

৬. চাপ বা মানসিক দুশ্চিন্তা (Stress or Mental Anxiety):

মানসিক চাপ সরাসরি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ না হলেও, এটি হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং শরীরের সংবেদনশীলতা বাড়ায়, যার ফলে রিফ্লাক্সের লক্ষণগুলো আরও খারাপ হতে পারে। দুশ্চিন্তা হজমের সমস্যাকে তীব্র করে তুলতে পারে।

৭. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা:

পেটের চারপাশে অতিরিক্ত মেদ (বিশেষ করে ভিসারাল ফ্যাট) পাকস্থলীর উপর চাপ সৃষ্টি করে, যা LES-কে উপরের দিকে ঠেলে দেয় এবং রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়।


গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েও কেন কমছে না?

আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাচ্ছেন, তাও কেন সমস্যাটা পুরোপুরি সারছে না? এর কয়েকটি কারণ রয়েছে:

১. অ্যাসিডিটির ওষুধের কার্যকারিতা:
গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ ওষুধ (যেমন: অ্যান্টাসিড, রেনিটিডিন, ফ্যামোটিডিন, বা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর যেমন ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল) পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন কমায় বা অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে। এগুলো উপসর্গ কমাতে কিছুটা আরাম দিলেও, যদি LES-এর দুর্বলতা বা হায়াটাল হার্নিয়ার মতো মূল শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে, তবে শুধু ওষুধে তা পুরোপুরি সারানো সম্ভব নয়।

২. লাইফস্টাইল পরিবর্তনের অভাব:
অনেক সময় আমরা শুধু ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি, কিন্তু রোগের মূল কারণ, অর্থাৎ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনি না। রিফ্লাক্সের ক্ষেত্রে লাইফস্টাইল পরিবর্তন ওষুধের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, বা ক্ষেত্রবিশেষে তার চেয়েও বেশি।

৩. ভুল রোগ নির্ণয়:
অনেক সময় সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ভেবে আমরা ভুল ওষুধ খাই। কিন্তু এটি GERD-এর মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলে শুধুমাত্র গ্যাস বা অ্যাসিডিটির ওষুধে কাজ হয় না।


করণীয়:

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের পাশাপাশি বা ওষুধ ছাড়াও কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে:

১. খাবার খাওয়ার পরে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা শুয়ে না থাকা: খাবার হজম হতে সময় লাগে। তাই, রাতের খাবার ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে শেষ করুন। দিনের বেলা খাবার পর কিছুক্ষণ হেঁটে বা বসে থাকুন।

২. অল্প অল্প করে বারবার খাবার খাওয়া (Heavy meal এড়িয়ে চলা): একবারে বেশি না খেয়ে সারা দিনে ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাবার খান। এতে পাকস্থলীর উপর চাপ কমে এবং অ্যাসিড উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. নির্দিষ্ট খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন:

* চা-কফি: অতিরিক্ত চা ও কফি পরিহার করুন, কারণ ক্যাফেইন LES-কে শিথিল করতে পারে।

* ঝাল, টক, ভাজাপোড়া: এই ধরনের খাবার অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায় এবং হজমে সমস্যা করে।

* সফট ড্রিংকস: কার্বনেটেড ড্রিংকস পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়ায়।

* চকোলেট, পুদিনা, টমেটো: এই খাবারগুলোও কিছু মানুষের ক্ষেত্রে LES-কে শিথিল করতে পারে।

৪. বালিশ উঁচু করে ঘুমানো: ঘুমানোর সময় আপনার মাথা এবং বুক কিছুটা উঁচু করে রাখুন (৬-৮ ইঞ্চি)। এর জন্য বালিশ বা বিছানার মাথার দিকটা একটু উঁচু করতে পারেন। এতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাহায্যে অ্যাসিড পাকস্থলীতেই থাকবে, উপরে উঠবে না।

৫. ধূমপান ও অ্যালকোহল বন্ধ করা: ধূমপান এবং অ্যালকোহল দুটোই LES-কে শিথিল করে এবং অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়। তাই এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা আবশ্যক।

৬. স্ট্রেস কমানো: মানসিক চাপ হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। মেডিটেশন, নিয়মিত হাঁটা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগা অথবা আপনার পছন্দের কোনো কাজ করে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ: যদি আপনার অতিরিক্ত ওজন থাকে, তাহলে তা কমানোর চেষ্টা করুন। পেটের মেদ কমলে পাকস্থলীর উপর চাপ কমে এবং রিফ্লাক্সের লক্ষণগুলোও উপশম হয়।


ঘরোয়া কিছু সহজ উপায় যা আরাম দিতে পারে:

অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা বুক জ্বালাপোড়ার মতো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক আরাম পেতে এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য ঘরোয়া প্রতিকার দারুণ কাজ করতে পারে। এগুলো আপনার পাকস্থলীর অ্যাসিডকে শান্ত করতে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

১. জিরা জল:

  • উপকরণ ও প্রস্তুতি: এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ জিরা মিশিয়ে নিন। জলটা ফুটিয়ে ঠান্ডা হতে দিন, এরপর ছেঁকে নিন। আপনি চাইলে হালকা গরম অবস্থায়ও এটি পান করতে পারেন। খাবার খাওয়ার পরে এটি পান করা সবচেয়ে ভালো।
  • কার্যকারিতা: জিরা হজমশক্তি বাড়াতে এবং গ্যাস-অম্বল কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি পেটের পেশীগুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যার ফলে পেট ফাঁপা এবং জ্বালা ভাব কমে। জিরার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণও হজমতন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সহায়ক।

২. আদা:

  • উপকরণ ও প্রস্তুতি: এক টুকরো (এক ইঞ্চি পরিমাণ) তাজা আদা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। এটি সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা পাতলা স্লাইস করে এক কাপ জলে ফুটিয়ে আদা চা (চিনি ছাড়া) তৈরি করে পান করতে পারেন।
  • কার্যকারিতা: আদা হলো একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী (anti-inflammatory) এবং হজম সহায়ক উপাদান। এটি পেটের অ্যাসিড উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং বমি বমি ভাব বা বমি প্রতিরোধেও কার্যকর। আদা হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে এবং পাকস্থলীর খাবারকে নিচের দিকে ঠেলে দিতে সাহায্য করে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে সহায়ক।

৩. মেথি ভেজানো জল:

  • উপকরণ ও প্রস্তুতি: রাতে শোওয়ার আগে এক গ্লাস পরিষ্কার জলে এক চা চামচ মেথি দানা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই মেথি ভেজানো জল ছেঁকে পান করুন। ভেজানো মেথি দানাগুলোও চিবিয়ে খেতে পারেন।
  • কার্যকারিতা: মেথিতে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার, যা হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ করে। এটি পেটের ভেতরের আস্তরণকে অ্যাসিডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মেথি জল পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়।

৪. ঠান্ডা ঘোল বা দই:

  • উপকরণ ও প্রস্তুতি: এক চা চামচ ঠান্ডা ঘোল (পাতলা টক দইয়ের জল) বা দই নিন। এতে কোনো চিনি মেশাবেন না। খাবার খাওয়ার পরে বা যখন অ্যাসিডিটি অনুভব করছেন, তখন এটি সেবন করুন।
  • কার্যকারিতা: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকস (Probiotics) বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখে। এটি পেটের পিএইচ (pH) ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত অ্যাসিডের প্রভাবকে প্রশমিত করে তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে। ঘোলও একই ধরনের উপকারী প্রভাব ফেলে।

৫. তুলসী পাতা:

কার্যকারিতা: তুলসী পাতা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং গ্যাস্ট্রোপ্রোটেক্টিভ (পাকস্থলী রক্ষাকারী) গুণ সম্পন্ন। এটি পেটের অ্যাসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে এবং বুক জ্বালাপোড়ার অনুভূতি থেকে আরাম দিতে পারে। তুলসী হজমতন্ত্রকে শান্ত করতেও সহায়ক।

উপকরণ ও প্রস্তুতি: কয়েকটি তাজা তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে নিন। এই পাতাগুলো সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা এক কাপ জলে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে সেই জল পান করতে পারেন।


গুরুতর লক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা

যদি আপনার সমস্যাগুলো উল্লেখিত ঘরোয়া উপায় বা লাইফস্টাইল পরিবর্তনেও কম না হয়, তবে দেরি না করে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে যদি:

  • প্রতিদিন গলায় খাবার বা অ্যাসিড উঠে আসে: এবং এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে।
  • বুক জ্বালা, ঢেকুর বা খাবার আটকে যাওয়ার অনুভূতি হয়: যা ক্রমাগত আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে।
  • ওজন কমে যাচ্ছে বা বমির প্রবণতা আছে: যা কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই হচ্ছে।
  • ঢোঁক গিলতে অসুবিধা হয় বা খাবার আটকে যায় বলে মনে হয় (Dysphagia)।
  • মল কালো বা আলকাতরার মতো হয়, অথবা বমির সাথে রক্ত আসে (গুরুতর লক্ষণ)।
  • দীর্ঘদিন ধরে কাশি বা গলা ব্যথা থাকে যার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।

এই ধরনের লক্ষণগুলো দেখা গেলে দ্রুত একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট (Gastroenterologist) দেখান। প্রয়োজনে ডাক্তার আপনাকে এন্ডোস্কোপি (Endoscopy), pH মনিটরিং, বা ম্যানোমেট্রির মতো পরীক্ষা করাতে বলতে পারেন, যা সমস্যার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে সাহায্য করবে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পথ দেখাবে।


পরিশেষে:

গলায় খাবার উঠে আসার সমস্যা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স একটি সাধারণ কিন্তু কষ্টকর সমস্যা। এটিকে অবহেলা করা ঠিক নয়, কারণ দীর্ঘমেয়াদী রিফ্লাক্স খাদ্যনালীর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, এমনকি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের (Barrett’s Esophagus) ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। তাই, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন, ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজনে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন!


Share This Post

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।