শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তা স্বাভাবিক। ছোট শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে ইউরিন ইনফেকশন (UTI) বা মূত্রনালীর সংক্রমণ অন্যতম। এটি শিশুদের মধ্যে বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা হলেও, এর লক্ষণগুলো অনেক সময় সহজে বোঝা যায় না, বিশেষ করে খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে। সময়মতো সনাক্ত ও সঠিক শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন প্রতিকার না হলে এটি কিডনির গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই, প্রতিটি বাবা-মায়ের জন্য শিশুদের প্রস্রাবের সমস্যা এবং এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন কি এবং কেন হয়?
ইউরিন ইনফেকশন হলো মূত্রনালীর (কিডনি, মূত্রনালী, মূত্রাশয়, মূত্রপথ) যেকোনো অংশে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। শিশুদের মূত্রনালী ছোট হওয়ায় এবং মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে মূত্রপথ মলদ্বারের কাছাকাছি হওয়ায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশনের কারণ:
- অপরিচ্ছন্নতা: ডায়াপার দীর্ঘক্ষণ পরিবর্তন না করা বা মলত্যাগের পর সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা।
- ব্যাকটেরিয়া: মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রপথে প্রবেশ করা (বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে)।
- অসম্পূর্ণ মূত্রত্যাগ: কিছু শিশুর মূত্রাশয় পুরোপুরি খালি না হওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়া জমে সংক্রমণ হতে পারে।
- মূত্রনালীর জন্মগত ত্রুটি: কিছু শিশুর মূত্রনালীতে জন্মগত ত্রুটি থাকতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অপর্যাপ্ত জল পান: কম জল পান করলে প্রস্রাব পাতলা হয় না এবং ব্যাকটেরিয়া সহজে প্রস্রাবের সাথে বের হতে পারে না।
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ:
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন (UTI) সনাক্ত করা প্রায়শই কঠিন হতে পারে, কারণ তারা নিজেদের অস্বস্তি সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না। লক্ষণগুলো বয়সভেদে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় অন্য সাধারণ অসুস্থতার মতো মনে হতে পারে। তাই, বাবা-মায়েদের প্রতিটি সূক্ষ্ম পরিবর্তনের প্রতি সতর্ক থাকা জরুরি।
নবজাতক ও ছোট শিশুদের (০-২ বছর) লক্ষণ:
খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে UTI-এর লক্ষণগুলি প্রায়শই অস্পষ্ট হয় এবং গুরুতর হতে পারে। এগুলি প্রায়শই অন্যান্য অসুস্থতার মতো দেখায়।
- জ্বর: কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই উচ্চ জ্বর (অনেক সময় এটি ইউটিআই-এর একমাত্র লক্ষণ হতে পারে)। নবজাতক বা ছোট শিশুর ক্ষেত্রে কারণবিহীন জ্বর দেখা দিলে অবশ্যই ইউরিন ইনফেকশনের সম্ভাবনা বিবেচনা করতে হবে, কারণ এই বয়সে এটি কিডনিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে গুরুতর হতে পারে।
- খাবার অনীহা: শিশু দুধ পান করতে চাইছে না বা অন্যান্য খাবার খেতে চাইছে না। হঠাৎ করে শিশুর খাওয়ায় অরুচি দেখা দিলে, বিশেষ করে যদি জ্বরও থাকে, তবে তা ইউটিআই-এর লক্ষণ হতে পারে।
- বমি বমি ভাব বা বমি: বারবার বমি করা, যা হজমের সমস্যার কারণে হচ্ছে বলে মনে নাও হতে পারে। ইউটিআই-এর কারণে শিশু বমি করতে পারে, যা ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ডায়রিয়া: পাতলা পায়খানা। যদিও এটি অন্যান্য অনেক সমস্যার কারণে হতে পারে, তবে জ্বর ও অন্যান্য ইউটিআই লক্ষণের সাথে ডায়রিয়া থাকলে তা সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে।
- ঘুম ঘুম ভাব বা বিরক্তি: শিশু অস্বাভাবিক অলসতা বা ক্রমাগত কান্নাকাটি করতে পারে, যা তার সাধারণ আচরণের চেয়ে ভিন্ন। তারা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমাতে পারে বা সারাক্ষণ বিরক্ত এবং অস্থির থাকতে পারে।
- শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া: ওজন না বাড়া বা শারীরিক বৃদ্ধি ধীর হওয়া। দীর্ঘস্থায়ী বা বারবার ইউরিন ইনফেকশন শিশুর পুষ্টি শোষণকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে তার ওজন বাড়তে বা শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
- ডায়াপারে দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব: প্রস্রাবে অস্বাভাবিক বা তীব্র দুর্গন্ধ। এটি ইউটিআই-এর একটি অন্যতম স্পষ্ট লক্ষণ হতে পারে, যা বাবা-মায়েদের সহজেই নজরে আসে।
- ডায়াপারে রক্ত: প্রস্রাবের সাথে সামান্য রক্ত দেখা যেতে পারে (তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়)। যদি ডায়াপারে প্রস্রাবের সাথে গোলাপী বা হালকা লালচে দাগ দেখেন, তবে তা তাৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শের প্রয়োজন।
- পেটে ব্যথা: শিশুর পেট শক্ত বা ফোলা মনে হতে পারে। শিশু পা পেটের দিকে টেনে এনে ব্যথা বোঝাতে পারে বা ক্রমাগত পেটে হাত দিতে পারে।
বড় শিশুদের (২ বছরের ঊর্ধ্বে) লক্ষণ:
বড় শিশুরা তাদের অস্বস্তি কিছুটা হলেও প্রকাশ করতে পারে, তবে তাদের লক্ষণগুলো প্রাপ্তবয়স্কদের মতো স্পষ্ট নাও হতে পারে।
- প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা: শিশু প্রস্রাব করার সময় কাঁদতে পারে, মুখ বিকৃত করতে পারে বা অস্বস্তি প্রকাশ করতে পারে। তারা বলতে পারে যে তাদের “প্রস্রাব করতে ব্যথা হচ্ছে” বা “পুড়ে যাচ্ছে”।
- ঘন ঘন প্রস্রাব: স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করা বা বাথরুমে যাওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া। এটি একটি সাধারণ লক্ষণ, যেখানে শিশু অল্প অল্প করে বারবার প্রস্রাব করতে চায়।
- হঠাৎ করে বিছানায় প্রস্রাব করা (বেডওয়েটিং): যে শিশু আগে বিছানায় প্রস্রাব করত না বা অনেক দিন ধরে রাতে শুকনো থাকত, হঠাৎ করে আবার বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু করা। এটি ইউটিআই-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে।
- জ্বর: উচ্চ জ্বর বা হালকা জ্বর। ইউটিআই-এর কারণে জ্বর আসতে পারে, যা শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তার ইঙ্গিত।
- পেটে ব্যথা বা পিঠের নিচের দিকে ব্যথা: কোমরের নিচের অংশে বা পেটের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে। শিশু ব্যথার কথা বলতে পারে বা ঐ স্থানে হাত দিয়ে বোঝাতে পারে।
- প্রস্রাবে দুর্গন্ধ বা ঘোলাটে প্রস্রাব: প্রস্রাবের রঙে পরিবর্তন (যেমন ঘোলাটে হওয়া) বা অস্বাভাবিক, তীব্র দুর্গন্ধ। প্রস্রাব দেখতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন বা মেঘলা মনে হতে পারে।
- ক্ষুধামন্দা বা বমি বমি ভাব: খাবার গ্রহণে অনীহা বা বারবার বমি বমি ভাব অনুভব করা।
- অস্বাভাবিক বিরক্তি বা অলসতা: শিশু অস্বাভাবিকভাবে বিরক্ত, খিটখিটে বা চুপচাপ হয়ে যাওয়া। তাদের খেলার প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে এবং তারা সাধারণের চেয়ে বেশি অলস বা নিস্তেজ মনে হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: শিশুদের ক্ষেত্রে ইউরিন ইনফেকশনের কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক। প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ ও সঠিক চিকিৎসা কিডনির গুরুতর ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন প্রতিকার: কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং কী করবেন?
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা না হলে সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে যেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:
- শিশুর জ্বর হলে, বিশেষ করে কোনো কারণ ছাড়া।
- শিশুর প্রস্রাবে কোনো ধরনের পরিবর্তন (যেমন- জ্বালাপোড়া, দুর্গন্ধ, ঘন ঘন প্রস্রাব) লক্ষ্য করলে।
- শিশুর অস্বাভাবিক বিরক্তি, বমি বা খাবার অনীহা দেখা দিলে।
- শিশুর ডায়াপারে রক্ত বা প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন দেখলে।
চিকিৎসা ও প্রতিকার:
১. চিকিৎসকের পরামর্শ: চিকিৎসক প্রথমে প্রস্রাব পরীক্ষার (Urine Routine & Microscopic Examination, Urine Culture & Sensitivity) মাধ্যমে সংক্রমণ নিশ্চিত করবেন।
২. অ্যান্টিবায়োটিক: সংক্রমণের ধরন এবং তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেবেন। কোর্স সম্পূর্ণ করা অত্যাবশ্যক, এমনকি লক্ষণ কমে গেলেও।
৩. পর্যাপ্ত জল পান: শিশুকে প্রচুর জল পান করাতে উৎসাহিত করুন। এটি প্রস্রাব পাতলা করে এবং ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
৪. ব্যথা ও জ্বর কমানো: চিকিৎসক জ্বর বা ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন (বয়স অনুযায়ী) দিতে পারেন।
প্রতিরোধের উপায়: শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন এড়ানোর টিপস
কিছু সহজ অভ্যাস শিশুকে ইউরিন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করতে পারে:
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
- ডায়াপার নিয়মিত পরিবর্তন: শিশুর ডায়াপার নোংরা হওয়ার সাথে সাথে পরিবর্তন করুন।
- সঠিকভাবে পরিষ্কার করা: মলত্যাগের পর মেয়ে শিশুদের সামনে থেকে পেছনের দিকে (সামনে থেকে পেছনের দিকে) পরিষ্কার করুন, যাতে মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া মূত্রপথে না আসে। ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
- পর্যাপ্ত জল পান: শিশুকে সারাদিন পর্যাপ্ত জল পান করাতে উৎসাহিত করুন, বিশেষ করে গরমের দিনে।
- নিয়মিত প্রস্রাব করা: শিশুদের প্রস্রাব আটকে রাখতে না বলুন। তাদের নিয়মিত বিরতিতে প্রস্রাব করার অভ্যাস তৈরি করুন।
- আরামদায়ক পোশাক: সিনথেটিক কাপড়ের বদলে সুতির ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরান, যা বাতাস চলাচল করতে দেয়।
- সাবান ব্যবহারে সতর্কতা: মূত্রপথের আশেপাশে তীব্র গন্ধযুক্ত সাবান বা রাসায়নিকযুক্ত পণ্য ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো জ্বালাতন সৃষ্টি করতে পারে।
- সঠিক খাদ্যাভ্যাস: আঁশযুক্ত খাবার এবং ফল ও সবজি শিশুর হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখে, যা পরোক্ষভাবে ইউটিআই প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ):
শিশু ইউরিন ইনফেকশন হলে কী হয়?
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন হলে জ্বর, খাবার অনীহা, বমি, বিরক্তি, প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব এবং কখনো কখনো বিছানায় প্রস্রাব করার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
শিশুদের প্রস্রাবের সমস্যা হলে কী করবেন?
শিশুদের প্রস্রাবের সমস্যা (যেমন জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব বা দুর্গন্ধ) লক্ষ্য করলে দ্রুত একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
শিশুর ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ কী?
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশনের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো: জ্বর, খাবার অনীহা, বমি, ডায়রিয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ বা ঘোলাটে রঙ, প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং বিছানায় প্রস্রাব করা (যদি আগে না করত)।
মেয়ে শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন বেশি হয় কেন?
মেয়ে শিশুদের মূত্রপথ (urethra) ছেলে শিশুদের তুলনায় ছোট এবং মলদ্বারের কাছাকাছি থাকে। ফলে, মলদ্বার থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই মূত্রপথে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, তাই মেয়ে শিশুদের ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি।
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন হলে কোন পরীক্ষা করা হয়?
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন নিশ্চিত করতে সাধারণত প্রস্রাব পরীক্ষা (Urine Routine & Microscopic Examination) এবং প্রস্রাব কালচার ও সেনসিটিভিটি পরীক্ষা (Urine Culture & Sensitivity) করা হয়। প্রয়োজনে আলট্রাসনোগ্রাফিও (Ultrasound) করা হতে পারে।
প্রস্রাব ইনফেকশন হলে জ্বর আসে কি?
হ্যাঁ, প্রস্রাব ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন হলে জ্বর আসা একটি খুব সাধারণ লক্ষণ। বিশেষ করে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে কোনো কারণ ছাড়া উচ্চ জ্বর ইউরিন ইনফেকশনের একমাত্র লক্ষণ হতে পারে।
শিশুদের প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ কী?
শিশুদের প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হলো ইউরিন ইনফেকশন বা মূত্রনালীর সংক্রমণ। এছাড়াও, কিছু খাবার বা পানীয়, ডিহাইড্রেশন বা নির্দিষ্ট কিছু ঔষধও প্রস্রাবের গন্ধ পরিবর্তন করতে পারে। তবে দুর্গন্ধ পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পরিশেষে:
শিশুদের ইউরিন ইনফেকশন একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত এবং চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরি। বাবা-মায়েদের সচেতনতা, সঠিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ আপনার শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি সর্বদা সতর্ক থাকুন।