ডিমের কুসুম (Egg Yolk) ডিমের সবচেয়ে পুষ্টিকর অংশ

Egg Benefits and Nutrition | ডিমের উপকারিতা ও পুষ্টি

Share This Post

ডিম (Egg) একটি সহজলভ্য এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রান্নার পদে এর ব্যবহার অপরিহার্য। ডিমকে প্রায়শই “সুপারফুড” (Superfood) বলা হয়, কারণ এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল ভিটামিন, খনিজ এবং উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এই আর্টিকেলে আমরা ডিমের পুষ্টিগুণ (Nutritional Value of Egg) এবং বিশেষ করে ডিমের কুসুমের পুষ্টিগুণ (Egg Yolk Nutrition) বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

ডিমের পুষ্টি উপাদান | Nutritional Components of Egg:

একটি মাঝারি আকারের (প্রায় ৫০ গ্রাম) ডিমে নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদানগুলি বিদ্যমান:

  • ক্যালোরি (Calories): প্রায় ৭০-৮০ কিলোক্যালরি
  • প্রোটিন (Protein): ৬-৭ গ্রাম (উচ্চ মানের প্রোটিন, যাতে শরীরের প্রয়োজনীয় ৯টি অ্যামিনো অ্যাসিডই বিদ্যমান)
  • ফ্যাট (Fat): ৫-৬ গ্রাম
    • স্যাচুরেটেড ফ্যাট (Saturated Fat): ১.৫-২ গ্রাম
    • মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Monounsaturated Fat): ২-২.৫ গ্রাম
    • পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Polyunsaturated Fat): ০.৭-১ গ্রাম (ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সামান্য পরিমাণে থাকে)
  • কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates): ১ গ্রামেরও কম
  • ফাইবার (Dietary Fiber): ০ গ্রাম
  • ভিটামিন (Vitamins):
    • ভিটামিন এ (Vitamin A): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৬-৮%
    • ভিটামিন বি২ (Riboflavin): দৈনিক চাহিদার প্রায় ১৫%
    • ভিটামিন বি১২ (Vitamin B12): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৯%
    • ভিটামিন ডি (Vitamin D): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৭% (প্রাকৃতিক উৎসগুলির মধ্যে অন্যতম)
    • ভিটামিন ই (Vitamin E): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৫%
    • ভিটামিন কে (Vitamin K): সামান্য পরিমাণে
    • ফোলেট (Folate): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৫%
    • কোলিন (Choline): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩০%
  • খনিজ পদার্থ (Minerals):
    • আয়রন (Iron): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩%
    • ফসফরাস (Phosphorus): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৯%
    • সেলেনিয়াম (Selenium): দৈনিক চাহিদার প্রায় ১৬%
    • জিঙ্ক (Zinc): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩%
    • ক্যালসিয়াম (Calcium): দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩%
    • পটাশিয়াম (Potassium): দৈনিক চাহিদার প্রায় ১%

ডিমের কুসুম (Egg Yolk)

ডিমের কুসুমের পুষ্টিগুণ | Egg Yolk Nutrition:

ডিমের কুসুম (Egg Yolk) ডিমের সবচেয়ে পুষ্টিকর অংশ। এতে ডিমের প্রায় সকল ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। একটি মাঝারি আকারের ডিমের কুসুমে নিম্নলিখিত উপাদানগুলি উল্লেখযোগ্য:

  • ক্যালোরি (Calories): প্রায় ৫৫ কিলোক্যালরি (মোট ডিমের ক্যালোরির অধিকাংশই কুসুমে থাকে)
  • প্রোটিন (Protein): ২-৩ গ্রাম
  • ফ্যাট (Fat): ৪-৫ গ্রাম (স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যার মধ্যে মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত)
  • ভিটামিন (Vitamins):
    • ভিটামিন এ (Vitamin A): ডিমের প্রায় সম্পূর্ণ ভিটামিন এ কুসুমে থাকে
    • ভিটামিন ডি (Vitamin D): ডিমের প্রায় সম্পূর্ণ ভিটামিন ডি কুসুমে থাকে
    • ভিটামিন ই (Vitamin E): ডিমের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কুসুমে থাকে
    • ভিটামিন কে (Vitamin K): কুসুমে বিদ্যমান
    • ভিটামিন বি১২ (Vitamin B12): কুসুমে থাকে
    • ফোলেট (Folate): কুসুমে পাওয়া যায়
    • কোলিন (Choline): ডিমের প্রধান কোলিনের উৎস হল কুসুম
    • লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন (Lutein and Zeaxanthin): এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে থাকে।
  • খনিজ পদার্থ (Minerals):
    • আয়রন (Iron): কুসুমে পাওয়া যায়
    • ফসফরাস (Phosphorus): কুসুমে থাকে
    • সেলেনিয়াম (Selenium): কুসুমে বিদ্যমান
    • জিঙ্ক (Zinc): কুসুমে পাওয়া যায়

ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা | Health Benefits of Egg:

ডিমের পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনা করা হলো:

  • উচ্চ মানের প্রোটিনের উৎস (Excellent Source of High-Quality Protein): ডিমে থাকা প্রোটিন শরীরের পেশী গঠন ও মেরামতের জন্য অপরিহার্য। এটি সহজে হজমযোগ্য এবং শরীরের প্রয়োজনীয় সকল অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে।
  • মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে (Improves Brain Health): ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলিন থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষ গঠন এবং স্নায়ু সংকেত পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্মৃতিশক্তি এবং শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
  • চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে (Protects Eye Health): ডিমের কুসুমে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন নামক দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন (age-related macular degeneration) এবং ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে (Maintains Bone Health): ডিমে ভিটামিন ডি এবং ফসফরাস থাকে, যা হাড়কে মজবুত রাখতে এবং ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় (Boosts Immune System): ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ এবং সেলেনিয়ামের মতো উপাদান থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় (May Reduce Heart Disease Risk): যদিও ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে, সাম্প্রতিক গবেষণা দেখায় যে খাদ্যতালিকায় ডিমের মাঝারি গ্রহণ বেশিরভাগ মানুষের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর তেমন প্রভাব ফেলে না এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না। বরং, এটি “ভালো” কোলেস্টেরল (HDL) এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক (Aids in Weight Management): ডিমে থাকা উচ্চ প্রোটিন এবং ফ্যাট দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়।

ডিমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া | Disadvantage of Egg:

ডিম নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া বা কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে ডিম খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

  • উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি: ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বা হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত ডিম খাওয়া উচিত নয়। পরিমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া বেশিরভাগ সুস্থ মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: কিছু গবেষণায় অতিরিক্ত ডিম খাওয়া এবং হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে একটি সম্পর্ক দেখা গেছে, যদিও এটি এখনও বিতর্কিত। অন্যান্য খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিস্থিতিও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ডিমের অ্যালার্জি: ডিম একটি সাধারণ অ্যালার্জেন, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। ডিমের অ্যালার্জির কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট বা পেটের সমস্যা হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যানাফিল্যাক্সিস (anaphylaxis) হতে পারে, যা জীবন-হুমকির কারণ।
  • ডিম অপাচ্যতা: কিছু মানুষের ডিম হজম করতে সমস্যা হতে পারে, যার ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস বা পেটে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।
  • সালমোনেলা সংক্রমণ: কাঁচা বা ভালোভাবে রান্না না করা ডিম খেলে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে, যার ফলে পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি এবং জ্বর হতে পারে। ডিম ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া উচিত।
  • বায়োটিনের অভাব (কাঁচা ডিমের সাদা অংশ): কাঁচা ডিমের সাদা অংশে অ্যাভিডিন (avidin) নামক একটি প্রোটিন থাকে যা বায়োটিন (ভিটামিন বি৭) এর শোষণকে বাধা দিতে পারে। তবে, রান্না করা ডিমে এই ঝুঁকি থাকে না।
  • ব্রণ: কিছু মানুষের অতিরিক্ত ডিম খেলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
  • খাদ্য ভারসাম্যহীনতা: শুধুমাত্র ডিমের উপর নির্ভরশীল থাকা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অভাব ঘটাতে পারে। সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে ডিম খাওয়া উচিত।

যাদের বিশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা রয়েছে, তাদের ডিম খাওয়ার বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সাধারণভাবে, পরিমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর।


ডিম খাওয়ার নিয়ম | How to Eat Eggs :

ডিম বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে, যেমন – সেদ্ধ ডিম (boiled egg), ভাজা ডিম (fried egg), অমলেট (omelette), পোচ (poach) ইত্যাদি। ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণরূপে পেতে কুসুম সহ ডিম খাওয়া উচিত, যদি না আপনার কোনো বিশেষ স্বাস্থ্যগত কারণে কুসুম বাদ দেওয়ার পরামর্শ থাকে।


Frequently Asked Questions:

ডিমের পুষ্টিগুণ কি?

ডিম প্রোটিন, ভিটামিন (এ, বি২, বি১২, ডি, ই, কে), ফোলেট, কোলিন এবং আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের একটি চমৎকার উৎস।

ডিমের কুসুমে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে?

ডিমের কুসুমে ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন (এ, ডি, ই, কে), ভিটামিন বি১২, ফোলেট, কোলিন, লুটেইন, জিয়াজ্যান্থিন এবং আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকে।

ডিম খেলে কি কোলেস্টেরল বাড়ে?

সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় ডিমের মাঝারি গ্রহণ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর তেমন প্রভাব ফেলে না। তবে, যাদের উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া উচিত?

সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা প্রতিদিন ১-২টি ডিম খেতে পারেন। তবে, আপনার স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর নির্ভর করে এই সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে।

ডিমের সাদা অংশে কি থাকে?

ডিমের সাদা অংশে মূলত প্রোটিন এবং সামান্য পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। এতে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল একেবারেই থাকে না।

ডিম কি বাচ্চাদের জন্য ভালো?

হ্যাঁ, ডিম বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে উচ্চ মানের প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে।

ডিম কি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ভালো?

হ্যাঁ, ডিম গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে ফোলেট এবং কোলিনের মতো উপাদান থাকে যা ভ্রূণের বিকাশে সহায়ক। তবে ভালোভাবে রান্না করা ডিম খাওয়া উচিত।

ডিম কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?

ডিম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ডিমের কোন অংশ বেশি পুষ্টিকর – সাদা না কুসুম?

ডিমের কুসুমে ডিমের বেশিরভাগ ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। সাদা অংশে মূলত প্রোটিন থাকে। তাই উভয় অংশই পুষ্টিকর, তবে কুসুম বেশি পুষ্টি উপাদান ধারণ করে।

ডিম কিভাবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়?

ডিম সেদ্ধ করে বা পোচ করে খেলে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। অতিরিক্ত তেলে ভাজা ডিমের স্বাস্থ্যকর দিক কিছুটা কমে যেতে পারে।

ডিম নিঃসন্দেহে একটি অত্যন্ত মূল্যবান খাবার যা আমাদের সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য। এটিকে আপনার খাদ্যতালিকায় সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে আপনি এর সকল পুষ্টিগুণ লাভ করতে পারেন।


Share This Post

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।